SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or

Log in with Google Account

সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান - বাস্তুসংস্থান

বাস্তুসংস্থান (Ecology)

বেঁচে থাকার তাগিদে কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীব সম্প্রদায় ও জড় পরিবেশের মাঝে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। জীব সম্প্রদায়ের সাথে পরিবেশের (Environment) অন্তঃসম্পর্কই হলো বাস্তুসংস্থান। বাস্তুসংস্থানের দুইটি উপাদান রয়েছে। যথা- জীব সম্প্রদায় এং জড় পরিবেশ। জড় পরিবেশই জীর সম্প্রদায়কে ধারণ করে রাখে। কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট পরিবেশে সঞ্জীৰ এবং নির্জীব উপাদানের সম্পর্ক ও পারস্পরিক ক্রিয়াকে বাস্ত্র গুহ (Ecosystem) বলে।

 

ক) জীব উপাদান

জীবমন্ডল (Biosphere) হলো পৃথিবীর সমস্ত ইকোসিস্টেমের যোগফল। এটাকে বলা যেতে পারে পৃথিবীর জীবনের এলাকা। পৃথিৱীতে প্রাণের সূচনা হয় আনুমানিক ১০০ কোটি বৎসর আগে। জীবমন্ডলের বিস্তৃতি ওপরে-নিচে ২০ কি.মি. ধরা হলেও মূলত অধিকাংশ জীবনের অস্তিত্ব দেখা যায় হিমালয় শীর্মের উচ্চা থেকে ৫০০ মিটার নিচের সামুদ্রিক গভীরতার মধ্যেই। সমুদ্রতল থেকে ৮৩৭২ মিটার নিচে পুয়ের্টোরিকা ট্রেঞ্চে মাছ পাওয়া গেছে। পাখিরা সাধারণত ১৮০০ মিটার উঁচুতে উড়ে। রাপেল জাতীয় শকুন সমুদ্র তল থেকে ১১৩০০ মিটার উচুতে উড়তে পারে। জীবমণ্ডল প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা- উদ্ভিদকুল (flora) এবং প্রাণিকুল (fanua)। উদ্ভিদ থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রকার প্রাণী ও বিয়োজক জীবের মাধ্যমে খাদ্যবস্ত স্থানান্তরিত হয় এবং পুনরায় সবুজ উদ্ভিদে ফিরে আসে। এরূপ চক্রাকার স্থানান্তর হওয়া এ খাদ্য খদকের সম্পর্ককে খাদ্য শৃঙ্খল বলে। বিভিন্ন প্রকার খাদ্য শৃঙ্খলের সুসংবদ্ধ বিন্যাসকে একরে খাদ্য জাল বলে। খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জলকে মূলত তিনটি স্তরে ভাগ করা যায়। যথা- উৎপাদক, খাদক বা ভক্ষক এবং বিয়োজক।

 

Content added By